সারাদেশ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:০১

ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: 
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ তিনজনকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তারা হলেন থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।

এর আগে ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ছাত্রলীগ নেতা সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১৮-২০ সহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ছয়জন মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এর আগে তারা চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দেয়। পরে এম সজীবসহ অন্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কফিল উদ্দিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবসহ চারজনকে গুলি করে ও দুজনকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের স্বজনরা ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে এম সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী বুলি বেগম জানান, মারাত্মক আহত এম সজীবের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের চারজনকে গুলি করে ও দুজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১ জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২নং আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এম সজীবসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের জবাববন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।