জাতীয় ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩০

রোহিঙ্গাদের অপরাধ করার সুযোগ দেয়া যাবে না: ডাক ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

দেশের নিয়মে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১৫টি সিমের মালিক হতে পারেন আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হয়তো কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিমগুলো রোহিঙ্গাদের উত্তোলন করেছে। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য দিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

সাক্ষাৎকার:

সিরিয়ার শরণার্থীরা তুরস্কে গেছেন তারা সেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারছেন কিন্তু রোহিঙ্গারা না, কেন? এমন প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, সিরিয়ার শরণার্থীরা অপরাধ করেনি বলেই হয়তো রাষ্ট্র বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখছে। সে দিক থেকে আমরা দেখেছি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এমন কি মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াসহ সমস্ত কিছু করা হয়েছে। কিন্তু এর মনে তারা অপরাধ তৈরি করার মতো সুযোগ পাবে এবং সে সুযোগ আমরা নিজেরাই তৈরি করে দেব। সেটা তো হতে পারে না।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, রোহিঙ্গারা কোনো মোবাইল সিম ক্রয় করেননি কারণ, সিম ক্রয়ের জন্য দলিলপত্র প্রয়োজন সেটা তাদের নেই। সিম পাওয়ার সুযোগটি যারা বিক্রেতা আছে তাদেরও হয়তো সম্পর্ক থাকতে পারে। অভিযোগ আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে এনজিওগুলো কাজ করেছে, সে এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের মোবাইল সেট কিনে দিয়েছে। সুতরাং রোহিঙ্গা এবং তার সাথের সহযোগীরাও এই অপরাধের সাথে জড়িত আছে। এখন দেখছি সিম অপরাধের বড় হাতিয়ার।

রোহিঙ্গাদের মোবাইল সিম ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, রোহিঙ্গারা প্রায় ১০ লাখের বেশি সিম ব্যবহার করছে। সিম ক্রয় করার জন্য ব্যক্তিকে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা অন্ততপক্ষে তার ছবিসহ একটি পরিচিতিপত্র দাখিল করতে হয়। সেটাই যদি না থাকে তাহলে তো সে সিম কিনতে পারে না। সে দিক থেকে রোহিঙ্গাদের একজনেরও বাংলাদেশে সিম কেনার কোনো বৈধতা নেই। এর সূত্র ধরেই অপারেটর যারা আছেন, তাদের বলা হয়েছে এই অবৈধ সিমের ব্যবহার বন্ধ করতে।

শরণার্থীদের সিম দেয়া হবে, সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গাদের সিম ক্রয়ের সুযোগ নেই। তবে, যারা বেড়াতে আসেন তারা সিম কিনতে পারেন। কারণ, তার পাসপোর্ট দিয়ে বৈধতা নিয়ে আসেন। একজন বিদেশি যখন আসে তার চলা ফেরায় নিষেধ থাকে না কিন্তু শরণার্থীদের সেটা থাকে। সুতরাং তাদের হাতে সিম যাওয়ার কোনো উপায় নেই। রাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে কিন্তু তাদের এই সুযোগ দিয়ে অপরাধের মাত্রা তৈরি করা, এটি অন্তত বাংলাদেশ সরকার করতে পারে না ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যে সিম ব্যবহার করছে এটি বন্ধ করা বিরাট কিছু না। কারণ মোবাইল এবং সিমের ডেটা বেইজ আছে। প্রযুক্তিগতভাবে এটি বন্ধ করার জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন, সে সক্ষমতা আমরা রাখি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী প্রতিটি সিমকে ট্যাক করতে সক্ষম। সুতরাং এই প্রক্রিয়াতে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই।