জাতীয় ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৫৭

‘প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতে ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ’

ডেস্ক রিপোর্ট

নির্বাচন কমিশনারদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, আমাদেরকে নয়, প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতে কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন

সম্প্রতি ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন

তিনি বলেন, আমরা এখানে যারা আছি প্রত্যেকেই ৩০-৩১ বছর চাকরি করে এসেছি আমাদের পূর্বের চাকরিতে যেভাবে স্বচ্ছ ছিলাম, এখনো সেভাবেই আমরা স্বচ্ছ আছি আমরা কেউই কিন্তু তখন জানতাম না যে, কমিশনার হিসেবে যোগ দেবো আর যারা সারা জীবন স্বচ্ছ থেকেছি, তারা মাত্র পাঁচ বছরের জন্য এখানে দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয় নিজেদের বিতর্কিত করবো না

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন প্রসেঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সহিংসতা হচ্ছে এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে তবে আগের তুলনায় সহিংসতা অনেকটা কম নির্বাচনের পরিস্থিতি যাতে ব্যাহত না হয়, তার সব ধরনের স্টেপ আমরা নিয়েছি প্রার্থীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে নির্বাচনের পরিবেশটা ভালো থাকবে

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকটা অভিযোগ তদন্ত করেছে কিছু কিছু বিষয় থাকে ইসির এখতিয়ারের বাইরে সেগুলো সম্পর্কে আমরা পরামর্শ দিয়েছি গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছে, সে কেন্দ্রগুলোতে ভোট স্থগিত করেছি

কবিতা খানম বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ইসির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ যদি আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো রিটার্নিং অফিসারের নিকট যখন একটি অভিযোগ আসে, তখন সে অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং আমাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যে অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসে, সেগুলো থানায় মামলার জন্য দেওয়া হয় ভোটের মাঠে আমরা অবশ্য থাকি না কিন্তু আমরা আপনাদের নিউজগুলো দেখি যে ক্ষেত্রগুলো আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়, সেখানে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কীভাবে সামাল দেবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখতে যা যা দরকার নির্বাচন কমিশন তা করবে

গোপন কক্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তি কীভাবে ভোট দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র এবং বুথ প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকে যদি প্রিজাইডিং অফিসারের নামে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তিনি আইনের আওতায় থাকবেন

একজন কমিশনার বলেছেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে’, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ ব্যাপারে তার কথার বিরুদ্ধে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না

নির্বাচনে প্রশিক্ষণের দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করেছেন তারা, ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই প্রশিক্ষণ যখন থেকে চলছে, তখন থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের অনারিয়াম দেওয়া হচ্ছে এখনও দেওয়া হয় এটা কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত

নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের ব্যয় সংক্রান্ত অডিট আপত্তির বিষয়ে কবিতা খানম বলেন, ‘অডিট আপত্তি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেই আসতে পারে এটা দুর্নীতি না আমি যে খাতে খরচ করেছি, আমি টাকাটা সঠিকভাবে খরচ করেছি কি-না, এজন্যই অডিট হয়ে থাকে