জাতীয় ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫৭

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের রপ্তানির বৃহত্তম ক্রেতা এবং বৃহত্তম বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি। র‌্যাব বা নির্দিষ্ট কোনো ইস্যুতে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করা হয় না। তাদের বিভিন্ন বিষয় আমাদের সাথে জড়িত।

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নীতিগত মিল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আর আমাদের দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। তারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং আমাদের দেশের ৩০ লাখ মানুষ মানবাধিকার অর্জনের জন্য তাদের জীবন দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশ সফরে আসছেন। আমরা তার সফরকে স্বাগত জানাই। তিনি এলে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হবে। আমরা আশা করি তার সফরের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে।'

মিয়ানমার ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান চাই। তাই আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। এরই মধ্যে আমরা পানি চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি বা সমুদ্রসীমার সীমানা নির্ধারণের সব সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছি। এমনকি একটি গুলিও ছোড়া হয়নি।

বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'গত ১ জানুয়ারি আমরা আমাদের ৮২টি বিদেশি মিশনের প্রধানদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা জানতে চাই তারা কি চায় এবং কিভাবে তারা আমাদের সাহায্য করতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উৎপাদন এবং সন্তোষজনক সেবা নিশ্চিত করা। তারা যদি এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করতে পারে, আমরা তাদের অনুরোধ করেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির তিনটি মূলনীতি সম্পর্কে তাদের জানিয়েছি। তা হলো- বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং মানুষের অধিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

আমাদেরকাগজ/এইচএম