জাতীয় ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০২:২০

কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে সরকার এবং দলের ভিতরে বাইরে চলছে নানা আলোচনা। আলোচিত হচ্ছে হ্যাভিওয়েটদের কয়েকজনের নাম।  

কে হচ্ছেন বঙ্গভবনের পরবর্তী বাসিন্দা- সেই নাম নিয়েও বিভিন্ন মহলে ব্যাপক কথাবার্তা হচ্ছে। ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

এ দিকে বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে চর্চিত প্রশ্ন, কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি? আবদুল হামিদ টানা দুই মেয়াদে (১০ বছর) রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের সংবিধান অনুযায়ী দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি হওয়ার বিধান নেই। তাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পর নতুন কাউকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে সংবিধান সংশোধন করে এক ব্যক্তির দুইবারের অধিক রাষ্ট্রপতি হওয়ার বিধান যুক্ত করলে বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে আবারও এই পদে প্রার্থী করা যাবে। তবে আপাতত সংবিধান সংশোধনের সম্ভাবনা নেই বলে আওয়ামী লীগের নীতিনিধারণী সূত্র থেকে জানা গেছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সম্প্রতি সরকারের এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

 

রেওয়াজ অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল আস্থাভাজনদের মধ্য থেকে কাউকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেয়। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হয়। যেহেতু জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আওয়ামী লীগের, ফলে ক্ষমতাসীন দল‌ই রাষ্ট্রপতি হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে‌। যদিও শেষ সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান শেখ হাসিনা।

এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হতে পারেন এ ধারণার ওপর বেশ কয়েকজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পুসহ সরকার প্রধানের আস্থাভাজন কয়েকজনের নাম। এর মধ্যে শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম আলোচনায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে। কিন্তু ওই পদে বসছেন সদ্য বিদায়ী ক্যাবিনেট সচিব কবির বিন আনোয়ার। ফলে বিকল্প কোনো জায়গায় তার স্থান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অপরদিকে মতিয়া চৌধুরীর নাম‌ও উচ্চারিত হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তিনি সংসদের উপনেতা হিসেবেও আসতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। সব‌ই অনুমান নির্ভর আলোচনা।

সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নন রাষ্ট্রপতি। তিনি মূলত সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণাসহ এই নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। আর সিইসি রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনো সংকট তৈরি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট থেকে উত্তরণে অবস্থান নিতে পারবেন, তেমন কাউকেই এ পদে বসাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক কিছু বিবেচনা করেই রাষ্ট্রপতি পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।    

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদটিতে আওয়ামী লীগ কাকে নির্বাচিত করবে তা দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে। তিনি সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনা করেই সর্বাধিক যোগ্য ব্যক্তিকে এই পদে নির্বাচিত করবেন। তিনি বিশ্বস্ত, দলের আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধ ও অনুগত ব্যক্তিকেই বিবেচনা করবেন।  


আমাদের কাগজ/এম টি