নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র গরমে বিপর্যস্ত রাজধানীর জনজীবন। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের আঁচ আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।রাজধানীতে মনে হচ্ছে বাতাসের সাথে আগুন বের হচ্ছে। এ অবস্থায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়।
ঢাকা শহরে এভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
আজ সোমবার তিনি বলেন, ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত যানবাহন, ঘরে ঘরে এয়ারকন্ডিশনিংয়ের তাপ এবং নির্মাণকাজের ফলে সৃষ্ট তাপ অন্যতম প্রধান কারণ। এ কারণে হয়তো ঢাকার পাশের মানিকগঞ্জে তাপমাত্রা ঢাকার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম।
তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে জানিয়ে আজিজুর রহমান বলেন, আগামীকাল ১৮ এপ্রিল থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। আর পরের দিন থেকে ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৯-২০ এপ্রিলের দিকে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ২৩ এপ্রিল থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ হাওর এলাকায় ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে এবার কেন বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘দাবদাহ বছরের এই সময়ের বৈশিষ্ট্য। বৃষ্টি না হলে এই সময় তাপপ্রবাহ তৈরি হয়। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে। তাপপ্রবাহের সঙ্গে আর্দ্রতা বাড়ার কারণে মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। দু-তিন দিন ধরে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এখন রাতের তাপমাত্রা ও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।’
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আমাদেরকাগজ/এইচএম