জাতীয় ১৭ জুলাই, ২০২৩ ১২:০২

কীভাবে হারায় দেখব: হিরো আলম

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেছেন, তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন, কীভাবে হারায় দেখবেন। 

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হিরো আলম এসব কথা বলেন। 

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট হচ্ছে কাগজের ব্যালটে।

বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর (একতারা প্রতীক) নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া, মারধর করা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন। 

কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন। ডাইরেক্ট বলে তো দিলাম কে আমার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। ওরা ছাড়া আর আমার এজেন্টদের কে বের করে দেবে? অন্য কারও ক্ষমতা আছে?’

হিরো আলম তাঁর নিজের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যেহেতু তাঁর এজেন্টের গায়ে হাত দিয়েছে, তাহলে তাঁর গায়েও যে হাত দেবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে।

ভোটের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে হিরো আলম বলেন, যেহেতু তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে ভোট কীভাবে সুষ্ঠু হবে? যেখানে তাঁর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে ভোটাররা আসবেন কীভাবে? একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। একতরফা সিল মারার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই, তারা আমাদের ওপর কত অত্যাচার করে আজকে, কত জুলুম করে, কীভাবে আমাদের ভোটে হারায়?’

ভোটের পরিবেশ নিয়ে সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েছিলেন বলে জানান হিরো আলম। তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি (হিরো আলম) কেন্দ্রে তাঁর এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ তথ্য সবাইকে জানালেন।

হিরো আলমের প্রধান ‘পোলিং এজেন্ট’ ইলিয়াস হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে ভাষানটেক, মাটিকাটা, মানিকদী, গুলশান ও বনানীর ১২টি কেন্দ্র তাঁরা পরিদর্শন করেছেন। সব কটি কেন্দ্র থেকে হিরো আলমের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি নারী এজেন্টদের গায়ে হাতও তোলা হয়েছে।

ইলিয়াস হোসেন আরও বলেন, গুলশান মডেল স্কুল কেন্দ্র থেকে একতারা প্রতীকের সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা গিয়ে তাঁদের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। পরে এজেন্টদের মারধর করে মুঠোফোন রেখে দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-১৭ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী। বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)। এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম। ভোট শুরুর পর থেকে দুপুর নাগাদ ভোট পরার হারে এই অনাগ্রহ স্পষ্ট। তবে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর