জাতীয় ২৩ মে, ২০২৪ ০৭:২০

সরকার কারও গলা টিপে ধরেনি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, তা গেল ১৫ বছরে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেছেন, এরপরও শুনতে হয় কথা বলার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সরকার কারো গলা টিপে ধরেনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।

তিনি আরও বলেন, ‘বিজয় ও স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করতেই ২৫ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়৷ তারপর থেকেই দেশটা শুধু পেছাতে থাকে৷ সরকার জনগণের জন্য কাজ করে, কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মানুষ এটা বুঝতে পারে৷

গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি হননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শক্তিশালী (যুক্তরাষ্ট্র) দেশটি সেই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি৷ গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মত দৈনতায় ছিলাম না কখনও৷

‘বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানাতে দিলে, কারও কারও নির্বাচনে জিততে কোনো সমস্যা নেই৷ এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু রাজি হইনি আমি৷ বে-অব বেঙ্গলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঘাঁটি বানাবে৷ ভারত মহাসগাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর৷ এখানে বেজ বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? আমি এটা করতে দিচ্ছি না বলেই খারাপ,’ যোগ করেন তিনি।

চক্রান্ত এখনো চলমান রয়েছে। তবে জনগণ সঙ্গে রযেছে, তারাই সামনে চলার মূল শক্তি বলে গর্ব করেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মত বাংলাদেশেও হচ্ছে৷ একই কথা রিজার্ভেও৷ রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেন না, আপদকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে৷ এতবেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন৷ এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো৷

সমবায়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধান-মাছ চাষ হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সেখানে ছয়বিঘা জমি দিয়েছি আমি৷ সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে এখন শরীয়তপুরের সবজি৷ ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা৷

সবসময় সাধারণ-নির্যাতিতদের পাশে আছেন বলেও জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা কবে ফেরত যাবে জানি না। প্রতিদিন সেখানে নতুন-নতুন শিশু জন্মাচ্ছে৷ অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে৷ মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ-সংঘাত করতে যাইনি আমরা। আলোচনা চালানো হচ্ছে৷ তবে মিয়ানমারের নিজেদেরই অবস্থা ভালো না৷

উৎপাদনে কোনো সংকট নেই দেশে, তবে ইনফ্লেশন কমানোটা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করতে আলোচনা হবে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে৷ 

আমাদের কাগজ/টিআর