সারাদেশ ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ০১:৪৮

সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার গুলি করার ছবি ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রধারী যুগলীগ নেতার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

চকরিয়ায় সংঘর্ষ চলাকালীন ভারী অস্ত্র হাতে যাকে দেখা গেছে তার মাথায় হেলমেট ছিল। তার পেছনে অন্যদের হাতে ছিল লাঠি। স্থানীয়রা তাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন বলে দাবি করেছে। ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফোরকান নামে একজন নিহত হন। এ ছাড়া চকরিয়া থানা পুলিশের ছয় সদস্যসহ আহত হন অন্তত অর্ধ শতাধিক।

মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনার ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে একটি মিছিল পৌর শহরের মহাসড়ক দিয়ে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে বায়তুশ শরফ সড়কের দিকে যাচ্ছে। ওই সময় বেলাল উদ্দিনকে হেলমেট পরা অবস্থায় গুলি করতে দেখা যায়।

ভাইরার হওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র ও লাটিসোঁটা হাতে দৌড়াচ্ছেন। প্রথম সারিতে অস্ত্র হাতে চকরিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, পাশে ছিলেন তার ভাই প্রবাসী মিরাজ উদ্দিন। তাদের পেছনে আরও ১০-১২ জন আছেন। তাদের মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরীকেও দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে যুবলীগের নেতা বেলাল উদ্দিন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীরের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

চকরিয়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিনের একটি ছবি আজ সকাল থেকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তির শারীরিক গঠন বেলালের মতো। আমি চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন থাকায় বিস্তারিত খোঁজ নিতে পারিনি।

যুবলীগ অস্ত্রবাজিকে প্রশ্রয় দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রমাণ হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চকরিয়া থানা ওসি জাবেদ মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে জানান, চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। হাসপাতালের গাড়িও ভাঙচুর করেছে।

ওসি আরও জানান, অস্ত্র হাতে ব্যক্তিটি কে পুলিশ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি। তবে অস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।


আমাদেরকাগজ/এইচএম