বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অভিনয় গুণ দিয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে নিয়েও অনেক সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, বিয়ের পর জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন তার স্বামী। অভিনেত্রী জানান, কী পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিনগুলো পার করেছি সে সময়। শ্বশুরবাড়িতে নানাভাবে অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন এ লাস্যময়ী। বিয়ের পর প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কোনোভাবেই পড়াশোনা করতে দিতো না। এমনকি তাদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে সব বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাঁধন।
সাক্ষাৎকারে বাঁধন আরও বলেন, ‘আমার সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোকজন পড়াশোনা করতে দিত না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরো ছিন্ন করে দিতে বাধ্য করে। আমি মেনে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এই ভাবেই হয়তো থাকতে হয়। অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন, এই সব সমস্যার সমাধান হল বাচ্চা।
কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারিনি, আমি বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার।’ পরে অত্যাচারের সীমা ছারিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বাঁধন।
আমাদের কাগজ//টিএ






















