নিজস্ব প্রতিবেদক
গুচ্ছভিত্তিক ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবার কথা থাকলেও এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ঠিক একই জায়গায় আটকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি)। এমন পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
করোনায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় সামনের মাসেই গড় ফলের ভিত্তিতে ফল ঘোষণা করা হবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। ফলে ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করবেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। যার মধ্যে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে আরেকটি।
সর্বশেষ ৩ নভেম্বর ইউজিসির বিশেষজ্ঞ কমিটি অনলাইনে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে মত দেওয়ার পর সমন্বিত বা গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, ৯৯ শতাংশ শিক্ষকই মত দিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো, সেভাবেই নেওয়া হোক। সরকার বা ইউজিসি কোনো বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলে তাতেও তাঁদের আপত্তি নেই।
ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছে। অবশ্য এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি এক সভায় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটকেও সমন্বিত বা গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষায় আসার অনুরোধ করা হলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন ইউজিসির একজন কর্মকর্তা।
এবার গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা হবে কি না জানতে চাইলে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। আগামী সভায় আলোচ্যসূচি রেখে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।