শিক্ষা ২২ মার্চ, ২০২৩ ০৬:০৬

গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকছে না জবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না থাকার সিদ্ধান্তে এখনো অটুট আছে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে জবির না থাকার বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ৪০ নং ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মনে করছে শিক্ষক সমিতি।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

তারা বলেন, গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তে তারা এখনো অটুট আছে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত খুব দ্রুতই সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ড.লুৎফর রহমান বলেন, ‘২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যায়। পরে দেখা যায়- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের বদলে আরও বেড়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এ আইনের ৪০ নং ধারায় বলা হয় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিজস্ব ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।’

জবি শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যারাই ভঙ্গ করবে তাদেরই সেই দায়ভার নিতে হবে। মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি যদি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আইনের ব্যত্যয় করে তাহলে তার দায়ভার তাদেরই নিতে হবে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। এরপরও যদি এ আইনের ব্যত্যয় ঘটে তাহলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে সেটিই বাস্তবায়ন করা হবে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম