জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
একই বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল। যার খেসারত আমি ২০২৪ সাল পর্যন্ত দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতার সূত্র ধরে আমাকে উচ্চ আদালতে যেতে হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিবি কার্যালয়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন সাংবাদিকদের বলেন, ফাইরুজ নামক আমাদের এক শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যুর পর আমার বিরুদ্ধে একই বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির অভিযোগ উত্থাপন করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, ২০১৯ সালের একটি কাল্পনিক ঘটনা, যেটি উল্লেখ করে ওই শিক্ষার্থী মিথ্যে অভিযোগ করেছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে এই মিথ্যে কাল্পনিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে একবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমার বিরুদ্ধে প্লাকার্ড ধরে। এরপর ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তে যে দীর্ঘসূত্রিতা সেটার শিকার আমি। কারণ দুই বছরেও তদন্তের ফলাফল পাওয়া যায়নি। মিথ্যে তদন্ত রিপোর্টের সূত্র ধরে আমাকে উচ্চ আদালতে যেতে হয়েছে। সব বিষয় সম্পর্কে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমি যা যা বলা দরকার তা বলেছি। আমরা সব ধরনের তথ্য উপাত্ত তাদের দিয়েছি।