আইন ও আদালত ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৪:০৩

নতুন জঙ্গি সংগঠনে জামায়াত আমিরের অর্থায়ন 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ  নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সমর্থন ও অর্থায়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

সেই সাথে, তার ছেলে ডা. রাফাতের সমর্থনেই নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনে জড়ান। তার প্রত্যক্ষ মদতে বেশ কয়েকজন সংগঠনটিতে প্রশিক্ষণও নেওয়া হয়েছে বলে দাবী মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার। 

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামের আমিমের প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকজন সংগঠনটিতে প্রশিক্ষণও নেয়। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফর্মে জঙ্গিবাদের বিস্তারে চেষ্টা করেছে, তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। আমরা দেখেছি এ দেশে ২০১২-১৩ সালে, ২০১৫-১৬ ও ২০০৫-৬ সালে জঙ্গিবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যান। তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেন। কিন্তু বাবা জামায়াতের আমির জানার পরও বিষয়টি সমর্থন ও তাকে অর্থায়ন করেন। তার অর্থিক সহায়তায় ছেলে অন্যদের সংগঠিত করছিল। এ অর্থায়নের কারণে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের আমিরের প্রত্যক্ষ মদতে বেশ কয়েকজন নতুন জঙ্গি সংগঠনে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। আমরা অতীতেও দেখেছি এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। অতীতেও আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করে নিয়ন্ত্রণ করেছি। বিজয়ের মাসে বলতে চাই, আগামীতেও এই দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই দেশে কোনোভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।

জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। আমাদের অভিযান চলছে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করছি না। অভিযান সফল হওয়ার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের বিষয় জানতে চাইলে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা পাচ্ছি। ঘটনার সময় যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্বে ছিলেন, সেখানে যাদের গাফিলতি ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশসহ অন্যদের করণীয় বিষয়ে রিপোর্টে বলা হবে।

পলাতক দুই জঙ্গির গ্রেফতারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নজরদারিতে শুধু সেই দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়িই আমরা তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।

আমাদের কাগজ/এম টি