নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার, ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন দুই পক্ষের শুনানি শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৯ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পিপি আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় বাবুল আক্তারসহ পাঁচ আসামির সবাই আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত তাদের দোষী নাকি নির্দোষ জানতে চাইলে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির জানান, অভিযোগ গঠন থেকে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেটা খারিজ করে দিয়েছেন। তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে বাবুলকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন বাবুল প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এজন্য তিনি সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
আমাদেরকাগজ/ এইচকে





















