আমাদের কাগজ ডেস্ক: ঘটনা এক দশক আগের। এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আপিল বিভাগ। তবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এ দুই আসামিকে হাইকোর্ট দুই বছর আগে খালাস দিয়েছিলেন। খালাসের সেই রায় বাতিল করে আজ বুধবার ১৫ নভেম্বর, নতুন রায় দেন প্রধান বিচারপতি।
এ রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পরিবর্তন করে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এদিন ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হয়।
দণ্ডিতরা হলেন মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখইতলা গ্রামের মৃত জাহিদ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান স্বপন ও মোস্তফা জমাদ্দারের ছেলে সুমন জমাদ্দার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
এরও আগে ঘটনাটি ঘটে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে।
মামলা নথি থেকে জানা যায়, শিশুটি নানাবাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে স্কুলের মাঠে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য যায়। দুপুরে ঘরে না ফেরায় স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন।
পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে শিশুটির ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ ঘটনায় শিশুটির মামাতো ভাই মেহেদী হাসান স্বপনের সংশ্লিষ্টতা পান। পরে স্বপন ও সহযোগী সুমন জমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জবানবন্দীতে গ্রেপ্তার কৃতরা বলেন, বাগডাস দেখানোর নাম করে এই সর্বনাশ করেন।



















