নিজস্ব প্রতিবেদক
পতিত জমিতে পটল চাষ করে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন এখন স্বাবলম্বী। এক সময় তার ছিল অভাব-অনটনের সংসার। অভাব নিত্যই তাড়া করে বেড়াচ্ছিল তাকে। বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। পতিত পড়ে থাকা এক বিঘা জমিতে পটল চাষ করে তিনি ভাগ্য বদলে ফেলেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পটল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে বেশ সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে পটল চাষে শ্রেণিভেদে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এ পর্যন্ত তিনি ৭০ হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছেন। তার ক্ষেত থেকে সপ্তাহে দুইদিন প্রায় ৪ মণ পটল তোলা হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই পটল নিয়ে যান।
তিনি জানান, তার ক্ষেত থেকে পটল উত্তোলন করা যাবে পুরো মাসজুড়েই। অন্যান্য ফসল থেকে পটলে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে পটলের আবাদ করবেন।
একই গ্রামের পটল চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, এক সময় তার সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু পটল চাষে তার সে অভাব কেটে গেছে। এবার ২৫ শতক জমিতে পটল চাষ করেছেন তিনি।
উপসহকারী কৃষি অফিসার বিশ্বনাথ পাল জানান, পটলের জমিতে সাধারণত: হেলেঞ্চা, দূর্বা, দন্ডকলস এসব আগাছার উপদ্রব দেখা যায়। এসব আগাছা জমি থেকে খাদ্যগ্রহণ করে পটল গাছকে দুর্বল করে দেয়। ফলে পটলের ফলন কমে যায়। তাই পটলের জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। বিশ্বনাথ বলেন, উত্তম কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বারি পটল -১ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, পটল জনপ্রিয় সবজি। সারা বছর ধরেই কম-বেশি পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে মিরপুর উপজেলায় বেশ কয়েকজন চাষি পটল চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন।