এই বর্ষা মৌসুমে পটুয়াখালীর গলাচিপায় তরমুজের বাম্পার ফলনে ২০ গুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন তরমুজ চাষি মো. জাহাঙ্গীর ফরাজী। উপজেলার গ্রামর্দ্দন গ্রামে ২০ শতক জমিতে মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচে তিনি এই ফলন পেয়েছেন। এতে তিনি ৪ লাখ টাকার ওপরে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন।
উপজেলার রতনদি-তালতলী ইউনিয়নের গ্রামর্দ্দন গ্রামের আব্দুল মজিদ ফরাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর ফরাজী তার ২০ শতক জমিতে মাটির বেড তৈরি করে তরমুজের বীজ বপন করেছেন। এতে অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফলে আগামী বছরে এই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে তরমুজের চাষ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তরমুজ চাষি জাহাঙ্গীর ফরাজী বলেন, তরমুজ চাষে তার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে তিনি তরমুজের চাষ শুরু করেন। আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে তিনি এক হাজার পিস বড় তরমুজে জালি বেঁধেছেন। ৬০ টাকা কেজি দরে প্রতিটি তরমুজের বাজার মূল্য হবে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকা। ওই হিসেবে কম হলেও তার তরমুজ বিক্রিতে চার লাখ টাকার ওপরে লাভ হবে। এমনটাই আশা করছেন তিনি।
তিনি আর বলেন ‘বর্ষা মৌসুমে তরমুজের এমন বাম্পার ফলন হবে ভাবতেও পারি নাই। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আমি সফলতা পাইছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে খেতের সব তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারবো।’
এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জাহাঙ্গীর একটি ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন। একাধিকবার তার তরমুজ খেত আমি পরিদর্শন করেছি। বর্ষা মৌসুমে জাহাঙ্গীরের মতো অন্য কৃষকদেরকেও তরমুজ চাষে উৎসাহিত করা হবে। জাহাঙ্গীরকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করা হবে।’