সব পাখি ঘরে ফেরে না
আঁধার রাত্রির পর কে থাকে আলোর অপেক্ষায়?
শারদীয় শুভ্রতায়, অনন্ত উদার মোহনীয়
দিন ক্রমশ উঠেছে দুলে। শিশিরের মমতায়
অবারিত ব্যস্ততার ক্ষণে, কে তোমার রমণীয়
রূপের সামনে জলন্ত গোলাপ ছুড়ে ছুটে যায়।
দূরের বাতাস দোলে, অসমাপ্ত আয়োজন শেষে
পাখিরা ফিরে না ঘরে, রয়ে যায় লেনদেন হায়!
কাছের মানুষ তবু দূরেই বসতি অবশেষে।
সাগর উজানে এলে যে দশা জলের মাঝে হয়
এমন লবণ মায়া বুকের ভেতর জমা রয়।
অরূপ দেবীর মুখ দেখেছি কতো না মনে পড়ে
কপোলের তিল আর রাঙা শোভা ঠোঁট মিশে যায়।
চোখের অপার মায়া নিমেষে আকুল মনে ধরে
হারায় আলোর রূপ, আঁধারে তাই অনন্যোপায়।
সুরের সন্ন্যাস
ছাতিমের গন্ধ ভরা দেশে হেঁটে যাই বহদূর
পথের সীমান জেনে কেউ কি পায় বলো ঠিকানা?
নিরুদ্দেশ তাই শুধু চলে যাই দূর অন্তপুর
বাঁশির মধুর সুর ভেসে আসে ভেঙেছে সীমানা।
সুরের মায়ার ডাকে যে জন গিয়েছে ছেড়ে ঘর
মোক্ষলাভ বৃথা নয়, ধ্যানের সুরভি ভেঙে যায়
বোধ আর বোধি নিয়ে একা শুধু হতে হয় পর
সাধন সঙ্গিনী যদি কাছে থাকে মন নিরূপায়।
নিলাম্বরী, ওগো মেঘবতী, এমন অমোঘ কলা
কেমনে ধরেছে মন, সুরহীন কী করে তোমাকে
টানে? মানে না সেসব মন, ভুল স্রোতে শুধু চলা।
এসব আমূল গন্ধ এসেছে দারুণ করে নাকে।
সীমাহীন তাই শুধু পথের মায়ার মধু নিয়ে
ঘুরিফিরি সব পথ বাঁশিসুরে বেদনা লুকিয়ে।
লেখকঃ শেখর দেব