ডেস্ক রিপোর্ট ।।
সনাতন ধর্মের প্রবক্তা মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী আজ শুক্রবার। দ্বাপর যুগের শেষ দিকে এই মহাপূণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দি দেবকীর কোলে জন্ম নিয়েছিলেন কৃষ্ণ।
সনাতন ধর্মমতে, পাশবিক শক্তি যখন সত্য সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই অসুন্দরকে দমন করে জাতিকে রক্ষা এবং শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠার জন্য স্বর্গ থেকে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে পৃথিবীতে।
এদিন ভক্তি, শ্রদ্ধা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে হিন্দু ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে গীতাযজ্ঞ, আনন্দ শোভাযাত্রা, কৃষ্ণপূজা, আলোচনাসভা, কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণসহ নানা আচার পালন করবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
পুরাণের বর্ণনায়, শ্রাবণের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম তিথির মধ্যরাতে মথুরার রাজা কংসের কারাগারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা অবতার কৃষ্ণের জন্ম তারিখে উদযাপন করে জন্মাষ্টমী। শান্তি, কল্যাণ ও মানবতাবোধের শক্তিতে প্রাণিত হয়ে অসত্য ও অন্যায়ের অবসান ঘটানোই দিবসটির মূলকথা।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে।
শুক্রবার সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ হবে। বিকেলে এখান থেকে জন্মাষ্টমীর র্যালি বের হয়ে পলাশী-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট মোড়-জাতীয় প্রেসক্লাব-পল্টন-শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার-গোলাপ শাহ মাজার-গুলিস্তান মোড়-নবাবপুর রোড-রায় সাহেব বাজার ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আলোচনাসভাও অনুষ্ঠিত হবে।






















