ধর্ম ডেস্ক: সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
সার্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু হওয়ার ফলে অনেকে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সার্বজনীন পেনশন সুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন ইসলামী আলোচন শায়খ আহমাদুল্লাহ।বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে অনেক আগে থেকেই সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। খুশির খবর হলো, বাংলাদেশেও সর্বজনীন পেনশন চালু হয়েছে। মৌলিকভাবে এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
তবে সরকার ঘোষিত সর্বজনীন পেনশনের যে রূপরেখার কথা আমরা জানি, তা কনভেনশনাল বীমার অবিকল, যা ‘গারার’ ও রিবানির্ভর। অর্থাৎ, একজন নাগরিক নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে নিয়মিত অর্থ জমা দেবে, বিপরীতে শেষ বয়সে সরকার তাকে আমৃত্যু পেনশন দেবে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে সেই অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার যে চুক্তি—তা সুদের আওতায় পড়ে। এদেশের বেশিরভাগ মুসলমান সুদকে অপছন্দ করে। এ কারণে কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর তুলনায় ইসলামী ব্যাংকসমূহে গ্রহকদের ভিড় বেশি। এছাড়া কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোও গ্রাহক চাহিদার কারণে ইসলামী উইং খুলতে বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, সাধারণ স্কিমের পাশাপাশি সুদমুক্ত একটা স্কিমও চালু করা উচিত। যাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে এবং সুদমুক্ত স্কিম চালু করা মোটেও কঠিন বিষয় নয়। সরকার আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিলেই এটি সম্ভব।
আমাদেরকাগজ/এইচএম