আমাদের কাগজ ডেস্কঃ ন্যাশনাল সোরিয়াসিস ফাউন্ডেশনের (এনপিএফ) এক সমীক্ষা অনুসারে, সোরিয়াসিস আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শীতকালে রোগটি আরো বেড়ে গেছে। শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় সোরিয়াসিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল।

তেমনই এক চর্মরোগ হলো ‘সোরিয়াসিস’। এটি একটি জটিল রোগ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কোনো বয়সীরা এ রোগে আক্তান্ত হতে পারে। ক্রনিক এই রোগ থেকে একবারে সারে না। সামান্য অনিয়মে এ ব্যাধি ঘুরে-ফিরে আসে। 

সোরিয়াসিস কেবল ত্বক নয়, আক্রমণ করতে পারে শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও। সাধারণত কনুই, হাঁটু, মাথা, হাত ও পায়ের নখ আক্রান্ত হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে মাথার ত্বক আক্রান্ত হতে পারে এবং হাতের নখের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং গর্ত হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে এ রোগ দেখা দেয়। সোরিয়াসিসের উপসর্গ হিসেবে শুরুতে বুকে পিঠে হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

পরবর্তী সময়ে ত্বকের ঐ অংশগুলো পুরু হয়ে আঁশ ওঠার মতো ত্বকের খোসা উঠতে শুরু করে। শুরুতে চিকিৎসা না করলে শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। যদিও এ রোগের জন্য তেমন কোনো বিশেষ চিকিত্সা নেই। তবে নিয়মের মধ্যে থাকলে এর লক্ষণগুলো কম প্রকাশ পায়।

সোরিয়াসিস থেকে বাঁচার ঘরোয়া ছয় উপায়-

>>> ন্যাশনাল সোরিয়াসিস ফাউন্ডেশনের মতে, ফিশ অয়েল, ভিটামিন ডি, দুধ, অ্যালোভেরা, আঙুরের মতো ডায়েটিক পরিপূরক সোরিয়াসিসকে মূল থেকে নির্মূল করতে পারে।

>>> ধূমপানে আসক্ত থাকলে দ্রুত তা ত্যাগ করা উচিত। ধূমপান এবং তামাক সেবন থেকে সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

>>> যে কোনো চর্মরোগের দাওয়াই হিসেবে হলুদ কার্যকরী। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য তকের প্রদাহ দূর করে।

>>> সোরিয়াসিস থেকে বাঁচতে ত্বক অবশ্যই আর্দ্র রাখতে হবে। এজন্য বাড়ি বা অফিসে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

>> সুগন্ধযুক্ত সাবান ও সুগন্ধী ব্যবহার করবেন না। এসবে উপস্থিত রাসায়নিক ও রং ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তারা এ জাতীয় সাবান এড়িয়ে চলুন।

>>> গরম পানি ত্বক চুলকানির কারণ হতে পারে। তাই রক সল্ট, দুধ বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে হালকা গরম ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে সোরিয়াসিসে চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।

সূত্র: হেলথলাইন

আমাদের কাগজ/এম টি