সারাদেশ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৬:৩৮

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সব সড়কে সিএনজি চলাচলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ও সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় তারা এই বিক্ষোভ করেন।

এ সময় শতাধিক যানবাহন মহাসড়কে আটক পড়ে। অবরোধের কারণে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহন চালক-শ্রমিকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিএনজি মালিক-চালক সমিতির ব্যানারে চালকরা প্রথমে মৌচাক এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন। এতে নারায়ণগঞ্জে চলাচলরত সিএনজির চালকরা এ অবরোধে যোগ দেন। এ সময় তারা মহাসড়কে চলাচলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে সিএনজি চালকরা মৌচাক থেকে মিছিল নিয়ে কাঁচপুর এলাকায় একই দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা এক ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ অবরোধের কারণে মৌচাক থেকে কাঁচপুরসহ আশপাশে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ সব মহাসড়কে সিএনজি চলতে দিতে হবে। তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে কিছুসংখ্যক গাড়ি চলতে দিলেও অন্যসব সিএনজিকে মামলা দিচ্ছেন।

সিএনজি চালকরা আরও বলেন, রেকার বিলের নামেও মামলার ভয় দেখিয়ে শিমরাইল, মৌচাক, সানারপাড়, সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পরিদর্শকসহ পুলিশরা চালকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা এগুলো থেকে রেহাই চাচ্ছি।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিএনজি চালকরা মহাসড়কের চলাচলের দাবিসহ অবৈধ দাবি নিয়ে মৌচাক ইউটার্ন ঘুরে কাঁচপুরের চাঁদমহল সিনেমা হলের সামনে গিয়ে মহাসড়ক ব্যারিকেড দেন। এখানে তারা ৩৫-৪০ মিনিট অবস্থান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা আসলে তারা চলে যান। তবে তারা শিমরাইল মোড়ে এসে সার্ভিস লেনে ১০ মিনিট দাঁড়িয়েছিলেন।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিএনজি চালকরা মহাসড়কে নেমেছিলেন। তাদের দাবি মহাসড়কে সিএনজি চালাতে দিতে হবে। আমরা বলেছি, তাদের এ দাবি যথাযথ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করব। পরে তারা এ আশ্বাসের ভিত্তিতে চলে গেছেন। তারা প্রায় ২০-২৫ মিনিট মহাসড়কে ছিলেন।

চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেননি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।