সারাদেশ ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১০:১৫

হত্যা মামলায় দুই সাংবাদিক কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
শেরপুরে নূর হোসেন নামে এক সাংবাদিককে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাকে দেখতে এসে আদালত এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরেক সাংবাদিক নেতা। তাদের দুইজনকেই পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নকলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি মো. নুর হোসেন এবং একই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক কালের কন্ঠ ও কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন সরকার (বাবু)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নকলা পৌর এলাকার হলপট্টি মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নকলা উপজেলার সমন্বয়ক এস এম মাসুমসহ ১০-১৫ জন সাংবাদিক নুর হোসেনকে ফোন করে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর পুলিশ আটক করে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক নুর হোসেনকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

সাংবাদিক নুর হোসেনকে আদালতে নিয়ে আসলে তার সঙ্গে দেখা করতে শেরপুরে আসেন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকার (বাবু)-সহ আরও কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় আদালতের সামনে থেকে সাংবাদিক বাবুকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সাংবাদিক বাবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। 

এদিকে আজ সোমবার বিকেলে বাবুকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান।

সমন্বয়ক এস এম মাসুম বলেন, সাংবাদিক নূর হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী নানা ধরনের পোস্ট শেয়ার করে আসছিলেন। এর আগেও তাকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সংশোধন না হওয়ায় তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি।

উল্লেখ, মোশাররফ হোসেন সরকার (বাবু) নকলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এবং গতবছর অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নকলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নকলার সমন্বয়ক এস এম মাসুম বলেন, সাংবাদিক নুর হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের পোস্ট শেয়ার করে আসছিলেন। এর আগেও সতর্ক করা হলে তিন সংশোধন না হওয়ায় তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ছাত্ররা নূর হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাকে মারধরের বিষয়টি তিনি জানেন না।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, বাবুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।