জাতীয় ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:০৭

মিঠামইনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী, হাওরে মানুষের ঢল

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন ও জনসমাবেশে অংশ নিতে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে তিনি মিঠামইনে পৌঁছান।

মিঠামইন সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জায়গায় নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একই টেবিলে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।

রাষ্ট্রপতির বা‌ড়ি‌তে দুপু‌রের খাবার ও বিশ্রা‌মের পর বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।

হাওরে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে হাওরে প্রতিটি প্রবেশ পথ ও পয়েন্ট। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্রে করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক বলেন, ‘দীর্ঘ দুই যুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইন এসেছেন। ১৯৯৮ সালে যখন এসেছিলেন তখনকার হাওর আর বর্তমান সরকারের উন্নয়নের হাওরের পার্থক্য স্বচক্ষে দেখার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ হাওর সফর।’

হাওরে মানুষের ঢল

দীর্ঘ ২৫ বছর পর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সফর করতে আসছেন  তার এ সফরকে ঘিরে সোমবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে চড়ে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। 

১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন হাওরে। দীর্ঘদিন পরে আবার তিনি আসছেন। তাকে বরণ করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট।


কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা দলে দলে মিঠামইন হ্যালিপেডে মাঠে সভাস্থলে যোগ দিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী সফর উপলক্ষে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে হাওরের চারপাশ। ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার আর রঙ বেরঙের পোশাকে উচ্ছ্বসিত হাওরবাসী ভোর থেকেই যাত্রা শুরু করেছেন মঞ্চের দিকে। 


স্থানীয়রা বলছেন, ২৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী যখন মিঠামইনে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে কোনও রাস্তাঘাট ছিল না। ছিল না কোনও অবকাঠামো বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। সব মিলিয়ে চরম অবহেলিত জনপদ ছিল মিঠামইন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে গত ১৪ বছরে রাস্তাঘাটসহ বিপুল উন্নয়ন হয়েছে হাওরাঞ্চলে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ হাওরবাসী। একই সঙ্গে তিনি মিঠামইনে যাওয়ায় খুব খুশি তারা। 

এদিকে আওয়ামী লীগের তরুণ কর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে টিভিতে দেখলেও বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়নি। দলে দলে জনসভায় যোগ দিয়ে এ সুযোগটি কাজে লাগাতে চান তারা। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাওরাঞ্চলে উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরির দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

 

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর