নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা
নড়াইলে সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় মাশরাফি ও তার বাবা ছাড়াও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, ফয়জুল হক রোম, ফয়জুল আমীর লিটু, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও সাড়ে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, আসামিরা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী, গুন্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি ও অস্ত্রধারী ব্যক্তি। বিগত সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ছাত্রদের ওপর অমানবিক নির্যাতন, ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে।
গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা কর্মসূচি চলাকালে লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তা, সিএন্ডবি চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্তরা। ফলে বর্তমান নড়াইল জেলা সমন্বয়ক কাজী ইয়াজুর রহমানসহ আরও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলার বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেন।
এর আগে, নড়াইল সদরে নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও মারধর করার অভিযোগ এনে সদর থানায় গত ১০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মুর্তাজা ও তার বাবা গোলাম মুর্তাজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ। এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।