অপরাধ ও দুর্নীতি ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০২:৫৪

দিহানের বাসার দারোয়ানকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলেরলেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ান দুলালকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

আটকের একদিন পর মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

এর আগে সোমবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন রোড থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে দারোয়ান দুলাল পলাতক থাকলেও পুলিশ বলছে, নজরদারির মধ্যেই ছিলেন তিনি। ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দারোয়ানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরে জানানো হবে। এছাড়া আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দুয়েক দিনের মধ্যে দিহানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

হেফাজতে নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল ঘটনার দিনের যে বর্ণনা দিয়েছেন, এর সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনার অনেকটাই মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দারোয়ান দুলাল জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা অথবা সাড়ে ১১টার দিকে একজন মেয়ে আসে পান্থনিবাস- অ্যাপার্টমেন্টে। দিহান দোতালার ডি- ফ্ল্যাট থেকে নিজেই নেমে এসে ওই মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। তবে ওই মেয়ে প্রবেশের বিষয়ে তিনি রেজিস্টার বইয়ে কোনো তথ্য লেখেননি বলে জানান দুলাল।

তিনি আরো জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দুপুর ১টা অথবা সোয়া ১টার দিকে দিহান ওই মেয়েটিকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে আনেন। গ্রাউন্ড ফ্লোরে পার্কিংয়ে থাকা গাড়ির পিছনের সিটে তোলেন। এরপর দিহান নিজেই গাড়ি চালিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হয়ে যান। এরপর ওই মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি ভয় পেয়ে যান। কারণে তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পালিয়ে যান।

ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এসি আবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই নজরদারিতে ছিলেন ওই বাসার দারোয়ান দুলাল। ঘটনার যথার্থতা যাচাইয়ে তার প্রয়োজন বোধ করায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনা মিলিয়ে দেখা হবে।

মামলাসূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ( জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলেরলেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়।

অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।