অর্থ ও বাণিজ্য ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:৫২

উড়ালসড়কে তৃতীয় দিনে যত টাকা টোল আদায়

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক : বেড়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়। সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার তৃতীয় দিনে উড়ালসড়কে (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) ২৫ লাখ টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে। যা আগের দুই দিনের তুলনায় বেশি।

আজ (বুধবার) সকালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

এসময়ে মোট ৩০ হাজার ৯১৯টি যানবাহন চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে ২৫ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট পথে ১৫ হাজার ৬৯০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট পথে ৩ হাজার ৬১৯টি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দর পথে ২ হাজার ৮৯৮টি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৮ হাজার ৭১২টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করেছে।

তার আগে চলতি মাসে (রোববার) সকাল ৬টায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার পর থেকে গত(সোমবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে মোট ২২ হাজার ৮০৫টি গাড়ি চলাচল করেছে। এই ২৪ ঘণ্টায় মোট টোল আদায় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।
 
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ১২১টি গাড়ি চলাচলে টোল আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা।
 
গত (শনিবার) উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে যানজটের নগরীতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।

আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তখন এর পুরো সুফল পাবে নগরবাসী।
 

 

একনজরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি নামের প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও আপাতত বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের নির্মাণ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে। উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এরমধ্যে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি অর্থের যোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগাকরী প্রতিষ্ঠান।

এদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যাতায়াত করতে বেশ কিছু নির্দেশনা মানতে হবে। সেতু বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে ওঠা যাবে না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উড়ালসড়কে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না পথচারীরা।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে হলে গাড়িভেদে নির্দিষ্ট অংকের টোল পরিশোধ করতে হবে। কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ৬ চাকার বেশির ট্রাক ৪০০ টাকা এবং সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) জন্য ১৬০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

আমাদেরকাগজ/এমটি