লাইফ স্টাইল ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:০৫

বিয়ের আগে কেন ‘গায়ে হলুদ’ দেওয়া হয়? 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিয়ে মানেই বর ও কনেকে চড়া হলুদ মাখাতে হবে। এ যেন এক প্রকার রিচুয়াল বলেই গণ্য করা হয়। বর্তমানে বিয়ের চেয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানই বেশি জাকজমকপূর্ণ হয়। বর হোক বা কনে, বিয়ের দিন সকালে গায়ে মুখে হলুদ বাটা মাখতেই হবে। কিন্তু কখনোও ভেবে দেখেছেন এই প্রথার কারণ কী? বিয়ের সঙ্গে কেন গায়ে হলুদ মাখার রীতি প্রচলিত আছে? সেই বিষয়েই আজ আলোচনা করব আমরা। 

হলুদ হল জীবাণুনাশক। হলুদ আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদের এই সুরক্ষা বর্মের জন্যই বিয়ের অনুষ্ঠানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে গায়ে হলুদের প্রথা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী হলুদ আমাদের শরীর ও মনকে শুদ্ধ করে। বিবাহিত জীবনে দুজন নতুন মানুষকে স্বাগত জানায় হলুদ। সেই কারণেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হলুদের ছোঁয়া থাকা শুভ বলে মনে করা হয়।

তবে কেন বিয়ের আগে পালিত হয় গায়ে হলুদের এই রীতি? তা হয়তো অনেকেরই অজানা! চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই রীতির পেছনের কিছু সম্ভাব্য কারণ-


ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

অতীতে যখন বিভিন্ন কসমেটিক ও বিউটি ট্রিটমেন্ট ছিল না, তখন বিয়ের দিন যাতে দম্পতিকে সুন্দর দেখায় তা নিশ্চিত করতে বর-কনেকে মাখানো হত হলুদ।

হলুদে থাকা পুষ্টিগুণ ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বল আভা দিতে সাহাড্য করে। এ কারণেই রূপচর্চায় হলুদ এতোটা জনপ্রিয়।

বদনজর থেকে বাঁচানো!  

বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই প্রচলিত আছে, বিয়ের আগে হলুদ মাখানোর মাধ্যমে বর-কনেকে বদনজর থেকে বাঁচানো যায়।

হলুদ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে

হলুদে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা ত্বক ও শরীরের বিভিন্ন ক্ষত থেকে শুরু করে সমস্যার সমাধান করে। হলুদ জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।

এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ায় সাহায্য করে। হলুদের এই গুণের জন্যও বর-কনের গায়ে মাখানো হয় এটি। যাতে বিয়ের আগে তাদের শরীরে জীবাণুমুক্ত হয়।

শরীর ও মনকে ভালো রাখে হলুদ

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ শরীর ও মনকে শুদ্ধ করে। বিবাহিত জীবনে দুজন নতুন মানুষকে স্বাগত জানায় হলুদ। বিয়ের আগে হলুদ লাগানোর মধ্য দিয়ে দুজনের মন ও শরীরে সুস্থতা মেলে।

শরীর বিষমুক্ত করে

হলুদে থাকা শক্তিশালী এক্সফোলিয়েটিং অ্যাজেন্ট ত্বককে করে বিষমুক্ত। হলুদের অনুষ্ঠানের পর যখন ত্বক ধুয়ে ফেলা হয়, তখন ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় ও উজ্জ্বলতা বাড়ে।

হলুদ স্নায়ুকে শান্ত করে

বিয়ে নিয়ে বর-কনে উভয়ের মধ্যে মানসিক চাপ থাকে। হলুদ মাখানোর মাধ্যমে তাদেরকে চাপ থেকে মুক্ত করা যায়। হলুদ উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ও মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। স্নায়ুকে শান্ত করার জন্য ও বিবাহের উদ্বেগ কমাতে দারুন কার্যকর হলুদ।

আশির্বাদস্বরূপ

বিয়ের আগে গায়ে হলুদ দেওয়াকে অনেকেই আশীর্বাদস্বরূপ বলে মনে করেন। গায়ে হলুদ মাখিয়ে আত্মীয়-স্বজনরা হবু বর ও কনেকে সুখী বিবাহিত জীবনের জন্য আশীর্বাদ করেন।

সূত্র: বলিউড শাদিজ/মিডিয়াম/হার জিন্দেগি


আমাদের কাগজ/এম টি