লাইফ স্টাইল ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০১:২০

আসর নামাজ আদায় না করলে যে ক্ষতি 

আমাদের কাগজ ডেস্ক : নামাজ বলতে আমরা আল্লাহর উদ্দেশে নিজেদের সমর্পণকে বুঝি। ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে আপ্রাণ রাজি-খুশি করাকে বুঝি। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ বা অবশ্যকর্তব্য। এই পাঁচ ওয়াক্ত হলো ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। 

তবে আসরের নামাজের জন্য হাসিদ কি বলছে ? চলুন জেনে আসি 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দিল তার আমল নষ্ট হল।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৫৩) 

হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি কোন কারন ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার শাস্তির ওপর এ হাদীসটি প্রমাণ। 

সারা দিনের কাজের ব্যস্ততার পর মানুষের মাঝে ক্লান্তি চলে আসে। তাই আসর পড়ার প্রতি অনেকের অসলতা দেখা যায়। আবার অনেকে দেরিতে আদায় করে থাকেন। আর অলসতার কারণে এই নামাজ ছুটে যাওয়া অন্য নামাজ ছুটে যাওয়ার তুলনায় বেশি নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে । তাই আসরকে বিশেষভাবে দেখা হয়। কারণ, আসর হলো সালাতুল উসতা (মধ্যবর্তী নামাজ) যা সময়মতো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সালাতসমূহ, বিশেষ করে সালাতে উসতার (আসরের সালাতের) হিফাযত করো।; (সূরা বাকারাহ, আয়াত, ২৩৮)

আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়ার শাস্তি হলো, আমল নষ্ট হয় এবং সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ কেউ বলেন, এর মাধ্যমে উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যক্তি একে হালাল মনে করে অথবা এটির ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করে ছেড়ে দেয়। তখন আমল নষ্ট হওয়ার মাধ্যমে উদ্দেশ্য হলো কুফর। 

কিছু আলেম এই হাদীসের মাধ্যমে দলিল পেশ করেছেন যে, যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ত্যাগ করল সে কুফরি করল। কারণ, কুফর ছাড়া অন্য কিছু আমল নষ্ট করে না। ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ।

আমাদেরকাগজ/(এমটি)