আমাদের কাগজ রিপোর্ট: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। তবে ফিফার দেওয়া অর্থের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (২৫ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। বাফুফের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ মে কাজী সালাউদ্দিন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বাফুফের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানি করেন।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফিফা থেকে বাফুফেকে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল সেই টাকাসহ সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া সব টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, সব বিষয়ে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ মে কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিটে দুদকের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাফুফেসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।
আমাদের কাগজ/টিআর