আইন ও আদালত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৮

অভিমান কাটিয়ে সিদ্ধান্ত বদল, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় লড়বেন, খুরশিদ আলম 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক : সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জানা যায়,  ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় লড়বেন তিনি। যদিও এর আগে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হয়ে মামলা পরিচালনা না করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

গত কাল (সোমবার) রাত সাড়ে ১০টার সময় আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের করা মামলা হয়। 

আইনজীবী খুরশীদ আলশ খান জানান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে নতুন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, তাঁর পল্টনের চেম্বারে রাতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী হিসেবে তিনি সব জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। তাই আগামীকাল থেকে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করবেন।

গত ২২ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। 

সেদিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

এদিকে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

সর্বশেষ ২৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৮টি মামলা হয়। ২০০৬ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া ১৮ জন কর্মচারী ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে পৃথক মামলা করেন। আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানির জন্য একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।

আমাদেরকাগজ/এমটি