আবহাওয়া ৩ জুন, ২০২৩ ০৩:১৭

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: তীব্র গরমে দুর্বিষহ মানুষ। রাজধানীসহ গোটা দেশে চলছে তাপদাহ। বাইরে প্রচণ্ড গরম, আর ঘরে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে  সবাই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসহনীয় জ্যাম। 

সারাদেশ বয়ে চলছে তাপদাহ। আর এতে পুড়ছে গাঁ। এ যেন জ্যৈষ্ঠের দহনজ্বালা। আর সেই জ্বালায় পুড়ছে গোটা দেশ। জানা যায়, বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম কিছুতে কমছে না। ফলে নাজুক হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। দিনে যেমন রোদের প্রতাপ, রাতে তেমন গরম হাওয়া। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। 

গরম উপেক্ষা করেই তাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে। গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষায় অনেককে দেখা গেছে পার্ক, রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে। আর কর্মজীবি মানুষেরও যেন কষ্টের শেষ নেই। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে গণপরিবহন সমস্যা। গরমে যানজট আর গণপরিবহনে ধাক্কাধাক্কি করে রীতিমতো যুদ্ধ করে অফিস যেতে হচ্ছে।

ধানমন্ডির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন বরিশানের ইসলাম। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মৌচাকে। শনিবার সকালে অফিসে যেতে মালিবাগ মোড়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তীব্র গরমে কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু ঘাম।

তিনি বলেন, তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম অপর দিকে যানজট। অনেক কষ্টে আছি। 

কাকরাইলে রাস্তার পাশে শরবত পান করছিলেন মিশু নামের এক বেক্তি,  আর সহ্য হচ্ছে না। রাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে রোদে পুড়ি। আমগো দেখার কেউ নাই। দুঃখের কথা বলার জায়গাও নেই।

গত দুই দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছে। ১১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে জুন মাসে ।

শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ডিমলায়, ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সিলেটে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমাদেরকাগজ/এমটি