জাতীয় ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ০৩:৫৮

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বৃষ্টিতে নাজেহাল নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আজ সোমবার মধ্যরাত  থেকেই বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজধানীবাসী। এদিন সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন স্কুল- কলেজ ও সরকারি- বেসরকারী অফিসে কর্মরত চাকুরিজীবীরা। বৃষ্টিতে নাজেহাল হয়েও কর্মস্থলে আসা অনেকেই গাড়ি না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রোববার নগরের কিছু কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হলেও আজ সোমবার মধ্য রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে শুরুতেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রাতভর বৃষ্টির পর ভোর থেকে কখনও হালকা আবার কখনও ভারি বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অফিসগামীরা।

এদিন ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে ধমকা ও ঝড়ের গতিতে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে ভারি বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী,পল্টন, বিজয়নগর, কাওরান বাজার,  ডেমরা,মতিঝিল,শাহাবাগ,ধানমণ্ডি, ফামগেইটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে।

কথা হয় গাউছিয়ার মৌচাকের গামেন্স ব্যবসায়ী মো: রাসেল মিয়া বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। কখন থামবে বলতে পারছি না। হয়তো আবারো বাসায় ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনো গতি নাই।

ডেমরার ডগাইর কালু ভূইয়া রোডের বাসিন্দা আবদুল মতিন মন্সি বলেন, এমনিতে বৃষ্টি আমার ভালো লাগে। তবে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ বৃষ্টির কারণে সুন্দর বন স্কোয়ার গুলিস্তানের "মতিন টেলিকম' ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রওনা দিয়ে আবার বাসায় ফিরে এসেছি। তবে দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছেন বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গাড়ির সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। মার্কেটে ক্রেতারও সংকট রয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন মিপপুরের ফারুক আহমেদ। তিনি দিলকোশা ইউসিবি ব্যাংকে কর্মরত। কুমিল্লা থেকে ঢাকার ৬৬ নং ওয়ার্ডের বাসায় রওনা দেন আনোয়ার হোসেন। কথা হয় তারসাথে। তিনি বলেন, জানিয়েছেন ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পথে পথে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।  অনেক কষ্ট ও দুর্ভোগে বাসায় আসলাম।  একই কথা বলেছেন অন্তত আরো ১২ জন অফিস ও আদালত গ্রামি পথচারী।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।

এদিকে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ জেলায় ইতোমধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৮ নম্বর বুলেটিনে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগের ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আমাদের কাগজ/ইদি