ইরানের সেই জম্বি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আসল চেহারা এবার প্রকাশ্যে এলো । রাতারাতি খ্যাতি পেতে সাহার তাবার নামের ওই ইরানি তরুণী প্রখ্যাত হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মুখ বিকৃত করে সোশাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেছিলেন। আর বলেছিলেন, প্লাস্টিক সার্জারি করে জোলির মতো চেহারা পেতে গিয়ে তার চেহারা বিকৃত হয়ে এমন হয়ে গিয়েছে। সাহার বলেছিলেন, তিনি তার মুখমণ্ডলে ৫০টি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন জোলির মতো চেহারা পেতে।
২০১৭ সালের প্রথম দিকে তিনি এই কাণ্ড শুরু করেন। সে সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর। অবশ্য সে বছরেরই শেষদিকে রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম স্পুতনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছিলেন, তার ওই ছবিগুলো ভুয়া। সেগুলো ফটোশপ করে বানানো হয়েছে। তারপরও তিনি ইনস্টাগ্রামে তার ওরকম বিকৃত ছবি পোস্ট করা বন্ধ করেননি।
ফলে ২০১৯ সালে দুর্নীতি আর ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাহার তাবার। ২০২০ সালে তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয়। অবশ্য মাত্র ১৪ মাস জেলে থাকার পরই তিনি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।
তবে সহজে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল না সাহারের। কিন্তু পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানে চলমান নারী স্বাধীনতার আন্দোলনের আবহে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সে দেশের প্রশাসন। জেল থেকে বেরিয়েই নিজের ফোন থেকে সেলফি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি।
সাহার জানান, কোনও অস্ত্রোপচার নয়। দক্ষ মেক-আপ আর ফটোশপের কারসাজিতেই এমন চেহারা দেখিয়েছেন তিনি।
সাহার বলেন, সবাইকে চমকে দিতে চেয়েছিলাম। পুরোটাই মেকআপ এবং ফটোশপে এডিট করে করা হয়েছে। আমার ফলোয়ারেরাও জানেন এটা আমার আসল চেহারা নয়।
অবশ্য, অস্ত্রোপচার নাকি সত্যিই করিয়েছিলেন সাহার। লাইপোশাকশন করিয়ে নাক এবং ঠোঁটে সামান্য বদল এনেছেন তিনি। বাকিটা ফটোশপের কারসাজি।