সারাদেশ ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০৩:০৪

আয়াতকে ৬ টুকরা করে নদীতে ফেলে দেন সাবেক ভাড়াটিয়া

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ মক্তবের উদ্দেশে দাদার হাত ধরে মঙ্গলবার ঘর থেকে বের হয় পাঁচ বছরের মোছা. আয়াত। এরপর আর ঘরে ফেরেনি ছোট্ট আয়াত। অতপর' নদীতে পাওয়া যায়, তার লাশ তাও আবার ছয় টুকরা করা। চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজের পর এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। 

এ ঘটনায় আবির আলী (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।  

 


আবি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সে আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন।

নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরা করার কাজে ব্যবহার করা বঁটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে। ’

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

সন্তানকে না পেয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা সোহেল রানা ও মা তামান্না খাতুন। তাঁরা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, থানা-পুলিশ ও হাসপাতাল ঘুরছেন। এলাকায় মাইকিং ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। আয়াতের সন্ধান দিলে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছিল পরিবার।

ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি নিখোঁজ হয়।  


আমাদের কাগজ/এম টি