লাইফ স্টাইল ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০১:৩৩

নামাজে হাঁচি কাশির বিধান

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ নামাজ অথবা সালাত আদায় ইসলাম ধর্মের একটি দৈনিক নিয়মিত ইবাদত। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয় যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে।  বর্ণিত আছে, ‘সেসব মুমিনরা সফলকাম, যারা তাদের নামাজে বিনয়াবনত থাকে।’ -(সূরা মুমিনুন, আয়াত: ১-২)

সালাত একটি সুনির্দিষ্ট প্রকৃতির ইবাদত যার পদ্ধতি ‘ইসলামী শরী‘আতে পরিপূর্ণভাবে বর্ণিত হয়েছে। নামাজ ‘তাকবিরে তাহরিমা’ দ্বারা শুরু হয় ও ‘সালাম ফিরানো’ দ্বারা শেষ হয়’। 

নামাজ (সালাত) ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন৷ নামাজ প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয়।

কোরআন হাদিসের আলোকে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা যেসব বিষয়কে নামাজ ভঙ্গের কারণ বলেছেন তার একটি হলো বিনা প্রয়োজনে কাশি দেওয়া। তবে যদি নামাজের মধ্যে গলায় কফ জমার কারণে বা এ ধরনের কোনো সমস্যার কারণে কাশি দেওয়া হয় তাহলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। তাই আলেমদের মতে, একান্ত প্রয়োজন না হলে কাশি বা হাচি না দেওয়া উচিত। -(আলমুহিতুল বুরহানি : ২/১৫১; তাবয়িনুল হাকায়েক : ১/৩৯২; আলবাহরুর রায়েক : ২/৫; মাজমাউল)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনু সাইব রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে মক্কায় ফজরের নামাজ আদায় করলেন। তিনি সূরাহ আল মু’মিনূন পড়া শুরু করলেন।... এ সময় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাশি এলে তিনি রুকূতে চলে গেলেন।- (মুসলিম শরীফ ৯০৯,ইসলামিক ফাউন্ডেশন,  ৯০৪, ইসলামিক সেন্টার, ৯১৬)


আমাদের কাগজ/এম টি