জাতীয় ৯ মার্চ, ২০২৩ ০৮:৫২

সুলতান’স ডাইনে দফায় দফায় অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তৈরি করা রাজধানীর গুলশানে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁয় দফায় দফায় অভিযান চলে। প্রথমে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সেখানে অভিযান চালায়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান-২ এর সামসুদ্দিন ম্যানশনের সুলতান’স ডাইনের এ শাখায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় পরিচ্ছন্নতাসহ বেশকিছু কারণে সুলতান’স ডাইনকে দশদিনের আল্টিমেটাম দেয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সুলতান’স ডাইনকে আগামী সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলেছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল। 

গত বুধবার দুপুরের পর থেকে ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ তোলেন কানক রহমান খান নামের এক ভোক্তা। এর পরপরই আজ দুপুরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-সচিব) মো. কাউছারুল ইসলাম সিকদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়। 

অভিযানে শেষে মো. কাউছারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি সুলতান’স ডাইনের খাবারে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো তদারকি করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিশেষ করে কিচেনের কিছু অংশ বেশ অপরিচ্ছন্ন মনে হয়েছে। পরিষ্কারের জন্য তাদের আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। পরে আবারও পরিদর্শনে এসে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে কি না তা দেখা হবে। 

তিনি আরও বলেন, সুলতান’স ডাইন অত্যন্ত পরিচিত একটি রেস্তোরাঁ। খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা মানে অন্য বিষয়েও সমস্যা থাকতে পারে বা হচ্ছে। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও ফারহানা ইসলাম অজন্তা। 

আমাদেরকাগজ/এইচএম